চোখের অস্বস্তিতে ভোগা সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই আজ (মঙ্গলবার) শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। আর সেদিনই চলতি বিপিএলে নিজের সেরা ইনিংসটি খেলে ফেললেন সদ্য বিদায়ী টাইগার অধিনায়ক। নিজের দুঃসময় পেরিয়ে আজ তিনি দুইশ পেরোনো স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন। যার ওপর ভর করে ২১৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় রংপুর রাইডার্স। পরবর্তীতে বল হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন ইমরান তাহির। তার ৫ শিকারে খুলনা টাইগার্স মাত্র ১৪১ রানে গুটিয়ে গেছে।
এ নিয়ে চলতি বিপিএলে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে জিতল রংপুর। যা পয়েন্ট টেবিলে তাদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে। অন্যদিকে টানা চতুর্থ হারে সেমিফাইনালে ওঠার পথ আরও কঠিন করে তুলল এনামুল হক বিজয়ের খুলনা। অথচ আসরের প্রথম চার ম্যাচে জিতে তারা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিন বড় লক্ষ্য তাড়ায় তাদের হয়ে একমাত্র লড়াই চালিয়েছেন বিধ্বংসী ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। ৬০ রানে তার বিদায়ের আর কেউ খুলনাকে পথ দেখাতে পারেনি। ফলে তাদের কপালে জুটল ৭৮ রানের বড় হার।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ থেকে বিপিএলের আরেক পর্ব শুরু হয়েছে। দুটি ম্যাচেই বড় স্কোরিং ম্যাচ দেখল দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। দুই ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে আগে ব্যাট করা দলগুলো। রংপুরের দেওয়া ২২০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় হোঁচট খেয়েই শুরুটা করেছিল খুলনা। দলীয় মাত্র ১৮ রানে তারা ওপেনার এভিন লুইসের উইকেট হারায়। বলতে গেলে তাদের হয়ে হেলস ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ব্যাটিং উইকেটেও ডানহাতি ঘূর্ণিতে তাদের কাবু করেছেন লেগস্পিনার ইমরান তাহির। ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় তিনি ৫ উইকেট শিকার করেন।
হেলস যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ আশা ছিল খুলনার। শুরুতে দুই উইকেট হারালেও সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটারই তাদের পথ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৩ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় তার ৬০ রানের ইনিংসটি থামতেই মুখ থুবড়ে পড়ে খুলনার ব্যাটিং লাইনআপ। বিজয়ের দলের আর কেউ সেই বিপর্যয় সামলাতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা থেমেছে ১৪১ রানে। খুলনার হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করা লুই উড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন ১৪ বলে।
তাহির ছাড়া রংপুরের হয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। একটি করে শিকার ধরেছেন জেমস নিশাম, হাসান মাহমুদ ও শেখ মেহেদী।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করা রংপুর প্রথম ২৪ রানেই দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও রেজা হেনড্রিকসকে হারায়। কিন্তু তাদের সেই বিপর্যয় সামলে আগ্রাসী রূপ ধারণ করেন সাকিব-মেহেদীরা। তৃতীয় উইকেটে তারা ১০৯ রানের জুটি বাধেন। সাকিব ৩১ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৬৯ রান করেন। ৩৬ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬০ রান করেন মেহেদী। এছাড়া শেষদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৩ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। যা রংপুরকে বড় পুঁজি এনে দেয়।
জেএন/এমআর