সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৯শ থেকে একহাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে এলাচের দাম।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের বৃহত্তম এই পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, গতমাসে খাতুনগঞ্জে এলাচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা। সরবরাহ কমে যাওয়া, আমদানি সংকট ও শীতকালীন বাড়তি চাহিদার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি হয় মসলাটি।
এক মাস আগেও, এলাচ পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে হয়েছে ২শ ৬৬০টাকায়। বর্তমানে একই জাতের প্রতি কেজি এলাচ পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ৬শ থেকে এক হাজার ৭শ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে এলাচের বাজার প্রায় শতভাগই আমদানিনির্ভর। সবচেয়ে বেশি এলাচ আমদানি হয় মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালা থেকে।
সর্বশেষ উৎপাদন মৌসুমে দেশটিতে এলাচের বিরূপ আবহাওয়ায় ফলন কমায় দেশটিতে পণ্যটির সরবরাহ কমে গেয়েছিলো।
অন্যদিকে দেশে চলমান ডলার সংকট, এলসি জটিলতা, বিলাসী পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়ায় অব্যাহত ছিলো পণ্যটির দাম। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ার পর কমে যায় বেচাকেনা।
আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য ওঠানামা করলে দেশেও এর প্রভাব পড়ে। আবার চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি হলে স্বাভাবিকভাবেই কমে যায় দাম।
মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলাচের কেজিপ্রতি স্বাভাবিক বাজার দর ১ হাজার ২শ টাকা থেকে ১ হাজার ৪শ টাকা। কিন্তু কয়েক মাস আগে এলাচের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ২ হাজার ৬শ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। বর্তমানে দাম কমে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় নেমেছে।
তারা আরো বলেন, বেচা কেনা না থাকার করনে দাম অনেক টা কমে এসেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার যদি দাম কম হয় তবে এখানেও দাম কম থাকে।
এছাড়াও রমজান ঘিরে নতুন করে মসলা আমদানির জন্য চেষ্টা করছে আমদানিকাররা। তাই পুরনো মালামাল বিক্রি করতে চাই ব্যবসায়ীরা। শুধু এলাচ নয়, সব ধরনের মসলাজাত পণ্যের দাম কমেছে খাতুনগঞ্জে।
জেএন/হিমেল/পিআর