চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ। ক্রেতাদের নাগালের ভেতরে এসেছে দাম। তাই আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক বাজার করতে গিয়ে খুশি মনে ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে ফিরছে ক্রেতারা।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে চলেছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রবিবেশী দেশ ভারত থেকে রসুন না আসায় দাম বেড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। রসুন কিনতে দেশের বাজারে তাই ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে বাড়তি দাম।
আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের শিম, মুলা, শালগম প্রতি কেজি ৪০ টাকার মধ্যে এবং ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহ থেকে প্রকারভেদে ১০-২০ টাকা কম। লাউয়ের দামও কমে এখন ৫০ টাকায় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় শীতের মৌসুমে এবার চট্টগ্রামে সবজির দাম ছিল অনেকটা বেশি। এতে সাধারণ ক্রেতাদের সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
তবে এ সপ্তাহের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। প্রকারভেদে প্রতিকেজি সবজিতে দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এতে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ ক্রেতারা।
পটিয়া মুন্সেফ বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হাসান বলেন, এখন বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো। এ কারণে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দীর্ঘদিন পরে সবজির দাম নিম্নমুখী।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৩০ টাকা, টমেটো গাজার ও শসার কেজি ৩৫ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, বরবটি ও করলা ৫০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিতালি দেব নামে বাজারে আসা এক ক্রেতা জানালেন, বাজারে মাছ মাংস ও চাল ডিমের দাম উর্ধমূখী। সবজির বাজারটা এ সপ্তাহে খুব ভাল আছে। তাই কম দামে পেয়ে ব্যাগ ভরে বেশি করে সবজি কিনে নিয়েছি।
এদিকে বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। ভোটের আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা পর্যন্ত নামলেও ভোটের পর তা ৬৮০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আরও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, রোজা ও কোরবানি সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছেন। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে।
এদিকে বাজারে চড়া দামে আটকে আছে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি বাদামি ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বড় বাজারে। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০ টাকা, ডজন ১৫০ টাকা। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে দাম এখনো কমেনি পেঁয়াজের। বেড়েছে রসুনের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২৫ টাকায়।
গত বছরের একই সময়ে প্রতিকেজি রসুন ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে এবার ঠেকেছে ২০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছে, ভারতে রসুনের দাম বিশাল বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। সেটা বাংলাদেশে এলে দর পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
জেএন/পিআর