শেষ পর্যন্ত সমলিঙ্গের মধ্যে বিয়ের স্বীকৃতি দিলো বিশ্বের প্রথম খ্রিস্টান অর্থোডক্স সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গ্রিস।
বৃহস্পতিবার দেশটির ৩শ সদস্যের সংসদে এর পক্ষে রায় দেন ১৭৬ জন। বিপক্ষে ৭৬ জন ভোট দিলেও বিলটির পক্ষে-বিপক্ষে কোনো রায় দেননি ৪৮ জন সংসদ সদস্য।
শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সমকামী দম্পতিরা বিয়ের পাশাপাশি এখন আইনত সন্তান দত্তক নেওয়ার অনুমতি পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেছেন, নতুন আইন একটি বড় ধরনের অসমতা দূর করবে।
কিন্তু এই আইনটি দেশটিকে ভাগ করে দিয়েছে। ক্ষমতাশালী অর্থোডক্স চার্চের নেতারা এই আইনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। চার্চের সমর্থকরা রাজধানী এথেন্সের সিনটাগমা স্কোয়ারে একটি সমাবেশ করেছেন এই আইনের বিরুদ্ধে।
গ্রিস অর্থোডক্স চার্চের প্রধান আর্চবিশপ আইরনিমোস দুই বলেছেন, এই ব্যবস্থা ‘মাতৃভূমির সামাজিক সংহতিকে খারাপ করে দেবে’।
প্রধানমন্ত্রী মিৎসোটাকিস বিলটিকে অনেক আগে থেকে সমর্থন করেছিলেন তবে এটিকে পাশ করার জন্য বিরোধী দলগুলির সমর্থন প্রয়োজন ছিলো। কেন্দ্র-ডানপন্থি দলের কয়েক ডজন এমপিরা তার এই বিলকে বিরোধিতা করেছিলেন।
ভোটের আগে একটি বিতর্কের সময় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, যে মানুষদের আমরা দেখেও না দেখার ভ্যান করি তারা অবশেষে তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে এবং শিশুগুলো এই পৃথিবীতে তাদের নিজস্ব পরিবার পাবে।
তিনি আরও জানান, এই নতুন সংস্কারটি আমাদের অনেক নাগরিকদের জীবনকে আরও ভালো করে তুলবে। বিনিময়ে তাদের কাছে থেকে কোনো কিছু কেড়ে নেবে না।
এদিকে গ্রিসের এলজিবিটিকিউ সংস্থাগুলো ভোটকে স্বাগত জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্যের মধ্যে ১৫ জন ইতিমধ্যেই সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী ৩৫টি দেশে অনুমোদিত।
গ্রিস এখন পর্যন্ত তার কিছু ইউরোপিয় প্রতিবেশীর থেকে পিছিয়ে ছিলো মূলত চার্চের বিরোধিতার কারণে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের প্রথম দেশ যেখানে বিবাহের সমতা রয়েছে।
জেএন/পিআর