দিনের বেশিরভাগ সময়ই তাদের কাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। কাজের চাপে অবসরের ফুরসতও যেন মেলে না অনেকের। সেই ব্যস্ততা থেকে একটু ছুটি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা মাতলেন কাবাডি খেলায়।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেএসপি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বসেছে ‘চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি গোল্ডকাপ কাবাডি টুর্নামেন্ট’ নামের এই আসর। পুলিশের এই আয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম।
দুপুরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন কেএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, কাবাডি গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হলেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে দেশের এ জাতীয় খেলাটি। তাই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য কাবাডিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। দেশে অন্য খেলাগুলোর আয়োজন নিয়মিত হয়ে আসছে। কিন্তু কাবাডির আয়োজনে খুবই নগণ্য। তাই বাংলাদেশ পুলিশ এ আয়োজন করেছে। এটি আমাদের জাতীয় খেলা। আমরা চাই এ খেলার চর্চা আরও বাড়ুক। পাশাপাশি ঐতিহ্য ফেরাতে কাবাডিতে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা। এ আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করছে বিকেএসপি। আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে কেএসআরএম। এ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে কেএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, জেলা পুলিশের সঙ্গে আমাদের হৃদ্যতা বহুদিনের। জেলা পুলিশ সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকে, পাশে থাকে। আমরাও সুযোগ খুঁজি কীভাবে তাদের সঙ্গে থাকতে পারি। কাবাডি টুর্নামেন্টের মতো দুর্দান্ত একটা আয়োজনে থাকতে পেরে আমরা খুবই কৃতজ্ঞ।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কেএসআরএমের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত কাবাডি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে ১২টি দল। ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে চার গ্রুপে এসব দল অংশ নিচ্ছে।
জেএন/এমআর