ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে চট্টগ্রামবাসী। একুশের প্রথম প্রহরে মিছিলে মিছিল প্রকম্পিত হয় নিউমার্কেট, জুবিলি রোড এলাকা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে মিউনিসিপ্যাল স্কুল ও কলেজ মাঠের অস্থায়ী শহীদ মিনারের সামনে সশস্ত্র অভিবাদন জানায় সিএমপির একটি চৌকস দল।
প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এরপর বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার (এসপি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর ও জেলা কমান্ড নেতারা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ নোবেল চাকমা বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ১৮০ জন পুলিশ সদস্য মিউনিসিপ্যাল স্কুল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। রয়েছেন সোয়াট টিমের ছয়জন সদস্য। এছাড়া সিটিএসবি, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মিউনিসিপ্যাল স্কুল ও কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কারো হাতে জাতীয় পতাকা, গায়ে শোকের কালো পোশাক, কেউ আবার ফুল নিয়ে যাচ্ছে শহীদ বেদীতে দেওয়ার জন্য। সারিবদ্ধ হয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে চট্টগ্রামের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষে লাইন আরও দীর্ঘ হয়। ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে লাইন বেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় সব বয়সের, সব শ্রেণি পেশার মানুষকে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
জেএন/এমআর