চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেল ৬ মাস ধরে অচল পড়ে রয়েছে সাত কোটি টাকা দামের সিটিস্ক্যান মেশিন। এর ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা রোগীদের।
হাসপাতালের মূল্যবান এ যন্ত্রটি দীর্ঘদিন অচল পড়ে থাকায় কমমূল্যের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গরীব-অসহায় রোগীরা। তাছাড়া রাজস্ব হারাচ্ছে রাষ্ট্র।
এরই মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন চমেক হাসপাতাল সফরে এলে সিটি স্ক্যান মেশিনটি অচল থাকার কথা জানান হাসপাতালের পরিচালক।
এরই মধ্যে সুখবর পেল রোগীরা। চমেক হাসপাতালে বসলো নতুন সিটিস্ক্যান মেশিন। গতকাল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন মেশিনটি চালু করা হয়েছে। নতুন মেশিন চালু হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান।।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন হাসপাতাল পরিদর্শণের পর অচল সিটিস্ক্যান মেশিনটি দ্রুত সচল করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেডকে তাগাদা দিতে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন স্বাস্থ্য সচিব।
এরপর মেরামতের খরচের দাবি থেকে সরে গিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি সিটিস্ক্যান মেশিন সচল করার পদক্ষেপের কথা কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল মেডিটেল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের মার্চে দিকে চমেক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অবস্থিত রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে স্থাপন করা হয় সিটিস্ক্যান মেশিনটি।
প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের এ মেশিনটি সরবরাহ করে ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী মেশিনটির ওয়ারেন্টি রয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও মেশিনটি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য পৃথক রক্ষণাবেক্ষন চুক্তি বা সিএমসি করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে।
জেএন/পিআর