রাতে নিজ বসতঘরে ঘুমিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। কে বা কারা জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরে থেকে এসিড ছুড়ে মারে। দগ্ধ হলেন মা ও মেয়ে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় চাঁদপুরে মতলব উপজেলার সুজাতপুর এলাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। রাত ১টায় পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সফিকুর ইসলাম মানিক নামে এক যুবককে আটক করে।
এদিকে, ঘটনার পর স্বজনরা এসিডদগ্ধ দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এসিডদগ্ধদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, এসিডে মেয়ে মিলি আক্তারের (২০) মুখ, বুক,পিঠ ও ডান হাত এবং মা রাশেদা আক্তারের (৫৫) বাম হাত ও উরু ঝলসে গেছে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে দ্রুত ঢাকায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এসিডদগ্ধদের স্বজন সাকিব হাসান জানান, রাতে মা ও মেয়ে ঘুমিয়েছিলেন। কে বা কারা জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরে থেকে এসিড ছুড়ে মারে। এ সময় এসিডদগ্ধদের আর্তচিৎকারে বাড়ির অন্যত্র ছুটে যান। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, এসিড ছুড়ে মারার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঘটনার ২ ঘণ্টার মধ্যে সফিকুল ইসলাম মানিক নামে এক যুবককে আটক করা হয়। যে মিলি আক্তারের বিয়ের আগে তাকে উত্যক্ত করত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিলি আক্তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার স্বামী মো. সায়েম প্রবাসে থাকেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, এলাকার এক যুবক মিলি আক্তারকে বিয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কিন্তু মিলি আক্তারের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়।
তবে বিয়ের পর মিলি আক্তার এলাকার অর্থাৎ বাপের বাড়ির বাইরে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করতেন।
এর মধ্যে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসার পর রবিবার রাতে এমন দুর্ঘটনার শিকার হন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মিলি আক্তার ও সঙ্গে তার মা রাশেদা আক্তার।
জেএন/পিআর