আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে না এসে যে ভুল করেছে উপজেলা নির্বাচনে না এলে এই ভুলের জন্যও খেসারত দিতে হবে। যদি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি না আসে, ২৮ তারিখ যেভাবে পালিয়ে গেছে আবার পালাতে হবে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের নিজ বাড়িতে মা বেগম ফজিলাতুন্নেসার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। জাতীয় নির্বাচনে নৌকা ছিল। যারা স্বতন্ত্র করতে চেয়েছে এলাউ হয়েছে। এবার উপজেলা নির্বাচনে উন্মুক্ত। আমি বলতে পারি আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আপামর বাঙালি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। যা ৪২ শতাংশ হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের থেকে বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করবে।
এর আগে দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে প্রথমবার নোয়াখালীর নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন ওবায়দুল কাদের। বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এরপর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার মায়ের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি। এতে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত হয়ে আমার মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রীর ভাতিজা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মির্জা মাসরুর কাদের তাশিক বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার দাদী বেগম ফজিলাতুন্নেসা ৯২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাই ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবছরের মতো মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় বাড়িতে এসে প্রথমে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন। তারপর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। তারপর খাবার শেষে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মিলাদ মাহফিলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর