সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জন মারা যাওয়ার পর রোববার রাজধানীজুড়ে রেস্তোরাঁয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা দেখা গেলেই সতর্ক করা বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ধানমন্ডি ও বসুন্ধরা এলাকাতে(ভাটারা) ১৬টি রেস্তোরাঁয় অনিয়ম ও অব্যবস্থপনার অভিযোগে ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ধানমন্ডির হোয়াইট হল নামের রেস্তোরাঁর শামীম হোসেন তুহীন, ম্যারিটেজ ঢাকার খুরশীদ আলম, এ্যারিস্টোক্যাটের সাব্বির হোসেন, আদি কড়াই গোস্তের খালিদ হোসেন, দি লবি লাউঞ্জের মারুফ হোসেন, ইয়ামচা ডিস্ট্রিক্টের পুলক বিশ্বাস, ক্যাফে ডোলচের আশিক তালুকদার, ক্যাফে সাওপাওলোর শাহিন সারোয়ার, ক্যাপিট্যাল লাউঞ্জের রেদুয়ান আহম্মেদ, পার্ক এন্ড স্ট্রার্টের মিজানুর রহমান, খানাজের শরিফুল ইসলাম, ক্যাফে ইউফোরিয়ার আল আমিন, টুইন পার্কের আল আমীন মোস্তফা তালুকদার, স্টার দেশীর মেহেদী হাসান, ডিকে-১৩ এর রাসেল পালমা, বেস্টার প্রের আমিনুল ইসলাম রিফাত, চা-টাইপের সামিত আলম সিয়াম, চয়ন হালদার ও বিবিকিউ’র সুমিত রায়।
ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন আছে কিনা, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে কিনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়টি দেখা হয়। রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত আটক করা হয়েছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ৩৫ কর্মীকে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়।’
আজ বিকেলে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা ও ফুটপাত ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করায় আল্লার দান বিরিয়ানি হাউজের মালিকসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও ওই এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোকে নিয়ম মানার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযান চালানো হয় উত্তরাতেও। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সেখানকার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে উত্তরা পূর্ব ও দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, যেসব খাবারের দোকান ফুটপাত ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেএন/এমআর