বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি, ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন (ইউএসআইটিসি)। জানা গেছে এই তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও রয়েছে। ওয়াশিংটনে ১১ মার্চ এ বিষয়ে একটি শুনানি হবে। তবে এই তদন্ত রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে এ সংক্রান্ত শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১১ মার্চ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কূটনৈতিক একটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি শুধু বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি তদন্ত করবে, বিষয়টি এমন নয়; বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তানও এর আওতায় রয়েছে। এছাড়া, এশিয়ার কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও রয়েছে এর আওতায়।
কূটনৈতিক সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে পাঁচ দেশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইউএসআইটিসি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশগুলো কীভাবে অবস্থান করে নিয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখবে ইউএসআইটিসি। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পোশাক খাতের পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করতে চায় ইউএসআইটিসি।
ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে পাঁচ দেশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইউএসআইটিসি। ৭ মার্চ থেকে এ শুনানি শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ মার্চ। শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিজিএমইএ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে। এক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিকভাবে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ রয়েছে। শুনানির পর আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে। আর আগামী ৩০ আগস্ট কমিশন তাদের তদন্ত প্রতিবেদন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করবে।
গত বছরের (২০২৩) নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাইডেন প্রশাসনের নতুন শ্রম নীতির ঘোষণা দেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রম নীতির ঘোষণার পর ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে তাদের শঙ্কার কথা জানায়।
জেএন/এমআর