প্রায় ৮০ লাখ টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক ঠিকাদার ও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৬ মার্চ) গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সাবেক সিনিয়র জিএম প্রকৌশলী যুবরাজ চন্দ্র পাল, এজিএম (ইএন্ডসি) এস, এম, নাহিদ সিরাজ, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল চন্দ্র সরকার ও স্টোর কিপার আব্দুল হামিদ।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এ লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, ফিডার লোড ব্যালেন্সিং, আপগ্রেডেশন কাজ, লাইন নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে ভুয়া দরপত্র দাখিল করেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই ছাড়াই কোনও চুক্তি সম্পাদন না করে এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে ঠিকাদার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চাহিদাপত্র ঘষামাজা (টেম্পারিং) করে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে চার কোটি ৪৬ লাখ টাকার মালামাল উত্তোলন করেন।
কিন্তু উত্তোলিত মালামাল দিয়ে নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করে আত্মসাতের চেষ্টা করলে পুলিশের সহায়তায় তার গোডাউন থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। বাকি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকা ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ আত্মসাৎ করতে সক্ষম হন মর্মে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
পরবর্তীতে কমিশন এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়। অনুমোদন পাওয়ার পর দুদক কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয়ে জাল রেকর্ডপত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০৩ টাকার মালামাল আত্মসাত ও আত্মসাতে সহযোগিতার অপরাধে ঠিকাদার মো. মামুন উর রশিদ ও গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে বুধবার মামলা দায়ের করেন।
জেএন/পিআর