বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক আনার জন্য এজেন্টদের প্রয়োজন নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল। ফলে এখন থেকে সরাসরি ইমিগ্রেশন বিভাগের মাইভিসা পোর্টালের মাধ্যমে ই-ভিসার জন্য আবেদন মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন বাংলাদেশি কর্মীরা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
যেসব বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা অনুমোদন দেয়া হয়েছে তাদের মালয়েশিয়ায় আনতে নিয়োগকর্তাদের চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দেশের জনশান্তি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে তার মন্ত্রণালয় ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সিদ্ধান্তটি সরকারকে বিদেশি শ্রমিক গ্রহণের জন্য নতুন কোটা খোলার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করার আগে বাস্তবায়িত উদ্যোগগুলোর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে এবং দেশে বিদেশি জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সাইফুদ্দিন আরও বলেন, নিয়োগ কর্তারা ৪ লাখ ১২ হাজার ১১ জন অভিবাসী শ্রমিকের কোটার জন্য লেভি পরিশোধ করেছেন, যার মধ্যে মাত্র ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ (২ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৫ কোটা) কলিং ভিসা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যেসব নিয়োগকর্তার সত্যিকার অর্থে বিদেশি শ্রমিক প্রয়োজন তারা তাদের কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিক আনার কাজ ত্বরান্বিত করতে পারবেন।
আশা করা যায়, এ সিদ্ধান্ত অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণও হ্রাস করবে, যেমনটি সম্প্রতি ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী অভিবাসী শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় আসার জন্য প্রতারিত হওয়ার ঘটনাগুলোর কথাও উল্লেখ করেন।
সাইফুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সরাসরি ই-ভিসা আবেদনের অনুমতি দেওয়ার পদক্ষেপটি নিয়োগকর্তাদের তাদের কোটা ব্যবহার করতে সহায়তা করবে, আবেদনগুলো এক থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্রিয়া করা হবে।
জেএন/এমআর