কনকাকাফ অঞ্চলে পুরুষদের গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট থাকলেও নারীদের জন্য সেটার প্রচলন ছিল না। এবারই প্রথম মাঠে গড়িয়েছে নারীদের গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট।
প্রথম আসরের শিরোপা মঞ্চে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে এ নিয়ে চারবার ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আগের তিনবারেও তারা জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। যার মধ্যে ২০০৪ ও ২০০৮ সালের অলিম্পিকও ছিল।
সান ডিয়েগোর স্ন্যাপড্র্যাগন স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই পর্যন্ত ছিল না। ৩১ হাজার ৫২৮ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামের সবগুলো টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কনকাকাফের নারীদের কোনো ম্যাচে যা রেকর্ড।
জমজমাট লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র গোলটি করেছে প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে। (৪৫+১ মিনিটে) গোলটি করেছেন অধিনায়ক হোরান।
এমিলি ফক্স ভাসানো পাস দিলে হেড করে গোল করেন তিনি। টুর্নামেন্টে এটি হোরানের তৃতীয় গোল। ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও পেয়ে গিয়েছিল তারা।
কিন্তু লিন উইলিয়ামস অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় তা। অথচ টুর্নামেন্টের শুরুতেই অঘটনের শিকার হয়েছিল রেকর্ড চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। মেক্সিকোর কাছে ২-০ গোলে পরাস্ত হয়েছিল। ৪৩ ম্যাচে যা ছিল দ্বিতীয় পরাজয়।
তারপর কলম্বিয়াকে কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টিস্নাত সেমিফাইনালে কানাডাকে পেনাল্টিতে হারিয়ে নিশ্চিত করে ফাইনালের টিকিট। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ ড্র ছিল।
অপর দিকে, টুর্নামেন্টে কনমেবল থেকে আসা চারটি দলের একটি ছিল ব্রাজিল। যারা টুর্নামেন্টের পাঁচ ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজয়ের স্বাদ দেওয়া মেক্সিকোকেও তারা সেমিফাইনালে হারিয়েছে ৩-০ গোলে! টুর্নামেন্ট তাদের গোল ছিল ১৫টি! দুর্ভাগ্য শিরোপা লড়াইয়ে খেলতে নেমে প্রথমার্ধে লক্ষ্য বরাবর একটি শটও রাখতে পারেনি তারা।
ম্যাচ শেষে লিন্ডসে হোরান বলেন, ‘এটা ছিল খুবই কঠিন একটি ম্যাচ। কঠিনভাবে আমাদের চেপে ধরেছিল ব্রাজিল। এই অবস্থায় গোল করতে পেরে আমি সত্যিই অভিভূত। এরপর দলকে জিতিয়েছি এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’
জেএন/পিআর