খেজুরের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। অন্যদিকে বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। নির্ধারিত এ মূল্যের ওপর ভিত্তি করে খুচরা দাম নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীদের বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশে আমদানিকৃত বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানিমূল্য, আরোপিত শুল্ক ও কর এবং আমদানিকারকের অন্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিকেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করেছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী হাসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই খেজুরের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দামি খেজুরের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়নি মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও চিনির দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১৪০ টাকার বেশি হবে না। প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ দাম হবে ১৪৫ টাকা।
এর আগে গত ১০ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছিলেন, রোজদারদের স্বস্তি দিতে দুই- এক দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জিহাদি খেজুরের দাম বেঁধে দেবে। পাশাপাশি আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নজরদারির মধ্যে রাখা হবে অন্য খেজুরও।
জেএন/এমআর