নগরের হোটেল পেনিনসুলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ ২০১৮। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে সহযোগিতা করে আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং ফেসবুক।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর কিউকো ইউকো সুকা, সহকারী ডিরেক্টর মাহমুদা আফরোজ, প্রজেক্ট ম্যানেজার রবার্ট স্টোলম্যান, আইসিটি’র ডিভিশনাল এডভাইজার পিনা জাবিন, কমনওলেথ ইউকে’র আসান আলী, ফেসবুক সাউথ এশিয়া পলিসি ম্যানেজার দেবিকা মালিক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুফিদুল আলম, প্রধান পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিমসহ ইউএনডিপি বাংলাদেশ, ফেসবুক, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে প্রযুক্তি দেশের সীমানা পেরিয়ে মানুষকে নতুন করে ভাবতে ও দেখতে শিখিয়েছে। বিশ্ব এখন আক্ষরিক অর্থেই হাতের মুঠোয়। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তথ্য প্রযুক্তির বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়ছে। আমাদের দেশের কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মেয়র আরো বলেন, ডেলয়েট পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় যে, ২০১৫ সালে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শুধু ফেসবুক ব্যবহার করে প্রতি বছর ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এতে কর্মসংস্থান হয় প্রায় ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষের। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করলেও এদেশের কিছু মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানোর কাজে। ফেসবুকের এ অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
চট্টগ্রামে দিনে ১৪টি সংসার ভাঙছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঢাকায় প্রতি ঘণ্টায় একটি তালাকের ঘটনা ঘটছে। এসবের পেছনে রয়েছে অনলাইন প্রযুক্তির অপব্যবহার। এ অপব্যবহার আমাদের রোধ করতে হবে। মেয়র শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক না হয়ে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে এই আয়োজন করার জন্য আয়োজকদেরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
পরে মেয়র বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।