মাত্র ৭১ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছেন নাফিস। টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নগদা শিমলা ইউনিয়নের উত্তর বিলডগা গ্রামের বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম ও মোছা. নাসিমা আক্তার দম্পতির ৯ বছর বয়সী মেধাবী ছেলে আবীর ইসলাম নাফিস।
জানা যায়, নাফিস ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জামতৈল দারুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে মাত্র ১৬ দিনে নাজেরা সম্পন্ন করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে সেখানেই হিফজ পড়া শুরু করেন। ১৫ দিন মাদ্রাসায় থাকা অবস্থায় শারীরিক নানা অসুস্থতা দেখা দিলে, বাসায় ফিরে জামতৈল দারুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা জোবায়ের হোসাইন এবং গোপালপুরের বারিধারা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মাসুদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে, মার্চের ১২ তারিখ প্রথম রমজানের দিন হিফজ সম্পন্ন করে নাফিস।
নূরানী মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র নাফিসের বাবা মো. নজরুল ইসলাম নলিন নঈম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা মোছা. নাসিমা আক্তার গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক।
জামতৈল দারুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা জোবায়ের হোসাইন বলেন, নাফিসকে যেদিন আমার কাছে নিয়ে আসা হয়, সেদিন ওর মেধা দেখে মুগ্ধ হই। ওর মেধা সবার থেকে ভিন্ন, ওর মেধার দ্বারা একদিন সারাদেশে সুনাম কুড়াবে।
গোপালপুরের বারিধারা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী মাসুদুর রহমান রহমান বলেন, ওর তীক্ষ্ম মেধাশক্তির প্রতি আমাদের আস্থা ছিল। ওর মেধায় মুগ্ধ হয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় আমরা ২জন ওস্তাদ নিয়মিত বাসায় এসে পড়াতাম। মাত্র ৭১ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে আমাদের অবাক করে দিয়েছে।
নাফিসের মা মোছা. নাসিমা আক্তার বলেন, আমার ছেলের পড়াশোনার প্রতি অনেক আগ্রহ। ওর মোবাইল গেমসের আসক্তি নেই, তবে সাধারণ খেলাধুলায় পারদর্শী। এই বয়সে বই পড়ায় ব্যাপক পটু। ধর্মীয় বই পড়া ও ধর্মীয় ইতিহাস জানার প্রতি ওর আগ্রহ বেশি।
বাবা মো. নজরুল ইসলাম নলিন বলেন, আমার ছেলেকে ভবিষ্যতে একজন বড় মাপের আলেম বানানোর ইচ্ছা রয়েছে।
জেএন/এমআর