গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ জনে।
রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন জহিরুল ও মোতালেব।
এর আগে একই দিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও মইদুল (৩০) নামে দুজন মারা যান। এদের মধ্যে আরিফুল গার্মেন্টস কর্মী ও মইদুল কারখানায় কাজ করতেন।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মইদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল তাদের। সেখানেই রোববার ভোরে তারা মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ ইফতারের আগ মুহূর্তে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল।
গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। পরদিন শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা (৩) নামে দগ্ধ এক শিশু ও ভোরে মনসুর (৩২) নামে একজনসহ মোট দুজনের মৃত্যু হয়। তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেয়ার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়।
এ সময় সিলিন্ডারটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। এতে রাস্তায় থাকা লোকজনও দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন।
জেএন/পিআর