দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। চার দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা কমেছে।
গতকাল বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০টি ভারতীয় পণ্য বোঝায় ট্রাকে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর পানামা পোটের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ।
তিনি বলেন, ‘হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ২১ জন আমদানিকারক গত এক সপ্তাহ পূর্বে এলসি খুলেছে। উভয় দেশের সরকার পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তির পর বুধবার থেকে আমদানি কারকেরা এলসি খোলা পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাক বাংলাদেশের প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
মার্চ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করবে।
বুধবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩০টি ট্রাকে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশ করার এ খবর মজুদদার ব্যবসায়ীদের নিকট পৌঁছে গেছে।
গতকাল হিলি স্থলবন্দর বিকেলে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত পরশু মঙ্গলবার হিলি বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যার পর দিনাজপুর শহরের বাহাদুরবাজার, চকবাজার ঘুরে দেখা গেছে দেশী পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার রাতে বাহাদূর বাজারে আরতদার সেলিম হোসেন জানান, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ জামদানি করায় দেশি পেঁয়াজ পাইকারি দরে খুচরা মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দেশি পেঁয়াজের দাম এমনি কমতে শুরু করবে।’
এছাড়া দিনাজপুরের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। চলনবিল এলাকার উৎপাদিত পেঁয়াজ দিনাজপুর বাজারে আসা শুরু হয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আড়তদার বলেন, ‘অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ক্ষতির আশঙ্কা থেকে বাঁচতে এখন মজুমদারেরা তাদের পেঁয়াজ বাজারে ছেড়ে দেবে। ঈদুল ফিতরের মৌসুমে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বেশি কোনো আশংকা নাই।
জেএন/পিআর