জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম বলেছেন, সুশাসনকে সুসংহত করতে কিছু টুল’স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন সেবার মান উন্নয়ন, নাগরিক সেবাকে সহজ ও জনবান্ধব করা, সেবাগুলোকে জনগণের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা। টুল’সগুলোর মূল উপজীব্য হচ্ছে ইনোভেশন। এছাড়াও এসডিজি’র কথা আমরা সবাই শুনেছি। এসডিজি ১৬.৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে-সরকারের সেবায় জনগণের সন্তুষ্টি বিধান করতে হবে। এর অর্থ ইনোভেশন শুধু বাংলাদেশে নয় বৈশ্বিক পরিমন্ডলেও স্বীকৃত। সুতরাং ইনোভেশন ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
আজ ২৩ মার্চ শনিবার নগরীর জামালখানস্থ শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ের “ইনোভেশন শোকেসিং” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা, উপজেলা, সরকারি ও বেসরকারীসহ মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন শোকেসিং-এ অংশ নিয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব আরো বলেন, সরকার ইনোভেশনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ইনোভেশনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের ফলে সেবা সহজীকরণে অনেক কিছু উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে, এর সুফল পাচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। কৃষকের জানালা, জমির ই-নামজারি, জমির খাজনা প্রদান, অনলাইন জিডি, ই-পাসর্পোট, ই-টিকেটিং, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ অনলাইন ভেরিফিকেশন, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও হট লাইন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং সিস্টেম ও ই-লার্নি সেন্টার স্থাপন সহ অসংখ্য মাধ্যমে দেশের জনগণ কম সময়ে, কম টাকায়, ঘরে বসে সেবা নিতে পারছে।
ইনোভেশন শোকেসিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেউ দেখাচ্ছে ই-রেভিনিউ সিস্টেম, কেউ জানাচ্ছেন কৃষকের আঙ্গিনা সম্পর্কে, আর কেউ নিয়ে এসেছে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা, ভ‚মি ক্রয়/বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও ওয়ারিশ সনদ প্রদান, কেউ বা জানাচ্ছেন অনলাইন বিলিং সিস্টেম সম্পর্কে, আবার কেউ স্মার্ট পোল্ট্রি ফার্ম সম্পর্কে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের সাভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিপিটি অনুঃবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক ও সিপি অধিশাখার যুগ্মসচিব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
জেএন/এমআর