বাড়ি থেকে রাগ করে এসে ট্রেন লাইনে বসে ছিল ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। ট্রেন আসেতে দেখে লাইনের ওপরে শুয়ে পড়েন। এ অবস্থায় ট্রেনটি তার ওপর দিয়ে চলে যায়। তার শরীরের হালকা ছিলে গেলেও অলৌকিকভাবেই বেঁচে যায় ওই কিশোরী।
ট্রেন চলে যাওয়ার পর অক্ষত অবস্থায় সে উঠে বসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ও আরশীনগর রেলক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
ধারণা করা হচ্ছে, ‘আত্মহত্যা’ করার জন্য ওই কিশোরী আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে রেললাইনে শুয়ে পড়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা ঘিরে ধরার পরও আনুমানিক ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী নিজের নাম জানায়নি। বাবার নাম উল্লেখ করে শুধু জানায়, সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাওয়াদী গ্রামের গাবগাছতলা এলাকায় তার বাড়ি।
ঘটনার অন্তত পাঁচজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল পাঁচটায় নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়।
যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি যখন চলতে শুরু করে, তখন ওই কিশোরী রেললাইনেই বসেছিল। ট্রেনটি ২০ গজ দূরে থাকতে মেয়েটি উঠে হঠাৎ করে রেললাইনে লম্বালম্বি শুয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ট্রেনটি তার শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়।
ট্রেন চলে যাওয়ার পর প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এতে তার শরীরের কয়েক জায়গায় ছিলে যায়।
তার নাম-পরিচয় ও এমন করার কারণ জানতে চাইলে সে শুধু বাবার নাম ও ঠিকানা জানিয়ে চুপ হয়ে যায়। পরে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়ে বেঁচে যাওয়া কিশোরী মেয়েটিকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার হাত-পায়ের কয়েক জায়গা ছিলে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজিউর রহমান বলেন, নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করার জন্যই ওই কিশোরী শুয়ে পড়েছিল।
ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেছে। রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেএন/পিআর