ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশ, দেশীয় পণ্যের প্রদর্শন এবং বিপণনের জন্য চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক এসএমই মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় নগরের আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে মেলার উদ্বোধন করেন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিউল ইসলাম বলেন, জার্মানিতে গতবছর যে অথনৈতিক মন্দা ছিল দেশটি তা এসএমই’র মাধ্যমে কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু আমরা এসএমই’র ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। আমরা অথনীতির দিক থেকে ১৭৬তম অবস্থানে আছি। এর থেকে আরো উন্নত পর্যায়ে যাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আমরা উন্নত দেশের পর্যায়ে যেতে চাই। এজন্য বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। চট্টগ্রাম চেম্বারের মাধ্যমে এ অঞ্চল দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, অর্থনীতির প্রাণ হচ্ছে এসএমই। জাপান অর্থনীতিতে এগিয়ে গেছে এসএমই’র কারণে। এসএমই’র মাধ্যমে অনেক ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান উঠে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এসএমই’কে এগিয়ে নিতে হবে। ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), সৈয়দ ছগির আহম্মদ, আবদুল মান্নান সোহেল, সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের মেলায় প্রাইম জোনের ২৪টি স্টল এবং জেনারেল জোনে ৩৫টি স্টল রয়েছে। মেলায় অংশ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ৯টি ব্যাংকসহ চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, তাঁতজাত পণ্য, কৃষি পণ্য, বুটিক, হস্তশিল্প, ফ্যাশন ওয়্যার, প্লাস্টিক, চিকিৎসা, সেবা ও পর্যটন খাতের ৪৫টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ থেকে মেলায় অংশ নিয়েছে গ্রামীণফোন। স্পন্সর হিসেবে আছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেড ।
২০১৬ সাল থেকে এ মেলা আয়োজন করে আসছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এবারের মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।