যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক উইন রোজারিও মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ একজন তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজন। আমাদের কনস্যুল জেনারেল সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে।
পরিবারের বক্তব্য হচ্ছে, পুলিশ যে পরিস্থিতিতে গুলি করেছে সেটা প্রয়োজন ছিল না। পুলিশের বক্তব্য ভিন্ন। সেই তরুণকে ছয়টি গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব নিউইয়র্ক প্রশাসন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। যদি কারো ওভার রিয়েকশন পাওয়া যায় এবং এমন কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সেই পরিবারটির ১০ বছর আগে নিউইয়র্কে গেছে। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধারী। গ্রিন কার্ডের জন্য এপ্লাই করেছে, কিন্তু এখনো গ্রিন কার্ড পায়নি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি এবং প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ফিরতি চিঠির মাধ্যমে আমাদের ঘনিষ্ঠতা, মিত্রতা, সম্পর্ক আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি।
তিনি বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরা যে জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, সোমালিয়ার জলদস্যুরদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
আলাপ আলোচনা মাধ্যমে আমার আশা করছি সহসাই আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে পারব, জাহাজটিও মুক্ত করতে পারব। আমাদের নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তারা কেবিনে আছে। তাদের খাবার-দাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয় নাই।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে তিনজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা পালিয়ে এসেছেন। তারা আমাদের বিজিবির হেফাজতে আছে।
বিজেপির ১৭৭ জন যারা পালিয়ে আসছে, তাদের নৌপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মারমা ইতোমধ্যে প্রস্তাব করেছে। আমরা আশা করি খুব সহসাই, তাদের নৌপথে ফেরত পাঠাতে পারব।
জেএন/পিআর