বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভারতের ট্রান্সমিশন সুবিধা ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
শনিবার বারিধারায় নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপকেন্দ্র দিয়ে এই বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে সাব-স্টেশনের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে।
নসরুল হামিদ বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিনিয়োগ করবে, যেখান থেকে ভারত ও নেপাল উভয়ের কাছেই বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ থাকবে।
আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান রয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সঙ্গে সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে।
এজন্য ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিদেশীয় চুক্তির প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য ভারত ও নেপালকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নেপালের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট। সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, নেপাল বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার ও ব্যবসাবান্ধব করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎখাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে।
জেএন/এমআর