রাজধানীর ডেমরার ধার্মিকপাড়া এলাকায় লন্ডন এক্সপ্রেসের ডিপোতে রাখা বিলাসবহুল ১৪টি ভলভো বাস আগুনে পুড়ে গেছে। সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর ৯ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে তারা। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিট ৪৯ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ঈদের আগে একসঙ্গে এতগুলো গাড়িতে আগুনের ঘটনাটি নাশকতা নাকি স্রেফ দুর্ঘটনা, তা রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনাকে রহস্যজনক মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন। তিনি বলেছেন, তদন্ত করে আগুনের সূত্রপাত জানার চেষ্টা চলছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই ডিপোতে শুধু লন্ডন এক্সপ্রেসের গাড়ি রাখা হতো। ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানটির একজন নিরাপত্তারক্ষী ডিপোতে ছিলেন। সেখানে রাখা সবগুলো বাস পুড়ে গেছে। এটি দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা এখনই বলা যাবে না। তদন্তের পর বিষয়টি বলা যাবে।
রাজধানীর আরামবাগে লন্ডন এক্সপ্রেসের কাউন্টারে কথা বলে জানা গেছে, তাদের একেকটি বাসের দাম আনুমানিক আড়াই থেকে ৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে ৩৫ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের আগে এতগুলো বাস পুড়ে যাওয়া স্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন তারা।
জানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর লন্ডন এক্সপ্রেস পরিবহনের ডিপোতে যান প্রতিষ্ঠানটির এমডি নূরুল ইসলাম। এ সময় পুড়ে যাওয়া গড়ি দেখে ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যান।
জানা গেছে, লন্ডন এক্সপ্রেসের মোট ২৪টি ভলভো বাস ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা, ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকাসহ সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট ও সিলেট-কক্সবাজার-সিলেট এই পাঁচ রুটে বাসগুলো চলাচল করে। এসব বাসের প্রতিটিই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও বিলাসবহুল। ছয় বছর আগে জার্মান ব্র্যান্ড ‘ম্যান’-এর বিলাসবহুল বাস দিয়ে ঢাকা-সিলেট রুটে যাত্রা করে লন্ডন এক্সপ্রেস।
জেএন/এমআর