ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পর নয়াদিল্লি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গতকাল বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরটি অবশ্যই হবে। তবে সেটি হবে দেশটির নির্বাচনের পর।
এদিকে, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তাঁর এ সফরে প্রতিরক্ষাসহ তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি চুক্তি সই হবে। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনে দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করছে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৭-৮ এপ্রিল ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। তাঁর সঙ্গে একটি বড় ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলও আসছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে একটি কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে। ক্রীড়া, কৃষি ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া সফরকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলটির ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশটি থেকে আমরা ভোজ্যতেল আমদানি করি। তবে বাংলাদেশের রপ্তানির বাজার হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকা এখনও তৈরি হয়নি। সে জন্য ব্রাজিল দিয়ে এ অঞ্চলে প্রবেশ করতে চায় বাংলাদেশ। ব্রাজিল একটি বড় দেশ। সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
পর্তুগাল, বাহরাইন ও নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে যাতে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল সফর করে, তা নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পর্তুগালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নেওয়া এবং এ বিষয়ে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশে থেকে কৃষি শ্রমিক ও নার্স প্রেরণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে। এ বৈঠকগুলোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
জেএন/এমআর