সোমালিয়া উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করার বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি আছে।
এখন মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর একটি সুবিধাজনক উপায় খুঁজে বের করা হচ্ছে। এমনটি জানিয়েছেন, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্টের (এমএমডি) এক কর্মকর্তা।
মুক্তিপণের টাকা লেনদেনের পর যেকোনও সময় মুক্তি পাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিক।
কবে নাগাদ নাবিকরা মুক্তি পাচ্ছেন, সে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে জাহাজ মালিকদের কেউ জানাতে পারেননি। তারা বলেছেন, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি আছে। যেকোনও সময় নাবিকরা মুক্তি পাবেন। তবে ঈদের আগে নাবিকদের দেশে ফেরানো যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (৪ এপিল) এমএমডির প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, এখন মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর একটি সুবিধাজনক উপায় খুঁজে বের করা এবং জিম্মি ক্রুদের মুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়াটাই পরবর্তী কাজ। জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করছে।
তিনি বলেন, ‘ক্রুরা ঈদের আগে মুক্তি নাও পেতে পারে। কারণ, এখনো কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। এগুলো শেষ করতে সময় লাগবে। তবে জলদস্যুদের দাবি সম্পর্কে কেউই অবগত নন।
এদিকে, জিম্মি নাবিকদের স্বজনরা পথ চেয়ে আছেন ঈদের আগে তারা বাড়িতে ফিরবে এমন আশায়। মুক্তি পেলেও ঈদের আগে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ। যেকোনও সময় জিম্মিদশা থেকে নাবিকরা মুক্তি পাবেন। কখন মুক্তি পাচ্ছেন তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। মুক্তি ঈদের আগেও হতে পারে, আবার ঈদের পরেও হতে পারে।
মুক্তি পাওয়ার পর সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের আকাশপথে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ওই জাহাজে নতুন করে ২৩ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের জন্য ২৩ জন নাবিকের নতুন একটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ যাওয়ার সময় সোমালি উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকাকালীন বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে জলদস্যুরা আক্রমণ করে।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এস আর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এই প্রতিষ্ঠানটির অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি।
গত বছর জাহাজটি এস আর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করে রাখা হয়। নতুন করে এর নাম রাখা হয় এমভি আবদুল্লাহ।
জেএন/পিআর