চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, যদি আমার ওপর আস্থা থাকে, ভালোবাসা থাকে, তাহলে আমার সুস্পষ্ট নির্দেশ, মহাজোটের প্রার্থীদের জেতাতে আজ থেকেই মাঠে নামুন।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সমাবেশে মেয়র এ নির্দেশনা দেন। নগরের আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে সাবেক যুব ও ছাত্র নেতাদের উপস্থিতিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মেয়র নাছির বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ নগরের ৪১ ওয়ার্ডের আওতাধীন কেন্দ্রগুলোর নির্বাচনি প্রচারণার কাজ পরিচালনা করবে। এর মধ্যে তিনটি আসন চট্টগ্রাম ৯, ১০ ও ১১ আসনের সব এলাকা এবং চান্দগাঁও-বোয়ালখালী, সীতাকুণ্ড ও হাটহাজারী আসনের আংশিক এলাকার নির্বাচনি প্রচারণায় কাজ করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম-৮ আসনের চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ এলাকায় ভোটার রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার। চট্টগ্রাম-৫ আসনে রয়েছে মহানগরের ১ ও ২নং ওয়ার্ড। আর চট্টগ্রাম-৪ আসনের কিছু এলাকায়ও রয়েছেন মহানগরের ভোটার। এই এলাকাগুলোর ভোটকেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে আছে নগর আওয়ামী লীগ। কাজেই এই ছয়টি আসন আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।
মেয়র বলেন, ওয়ার্ড কমিটিতে আপনাদের অন্তর্ভুক্ত করল কি করল না, প্রার্থীরা ডাকল কি ডাকল না সেটা দেখার সময় নেই। প্রার্থীরা আপনাকে মূল্যায়ন করলো কি-না সেটা মনে রাখারও দরকার নেই। আপনারা আমার আস্থাভাজন। তাই আমি যেটা বলব সেটাই আমার নির্দেশ জেনে কাজ করতে হবে। দরকার হলে মানুষের কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরে নওফেল ভাই, আফছার ভাই, লতিফ ভাই বা দিদার ভাইয়ের জন্য ভোট চাইবেন। যারা চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ এলাকার ভোটার তারা বাদল ভাইয়ের জন্য ভোট চাইবেন। হাটহাজারী এলাকার নেতাকর্মীরা লাঙ্গল প্রতীকের জন্য ভোট চাইবেন। এখানে নির্বাচনি কমিটি বড় কথা নয়। নির্বাচনই একমাত্র কথা।
কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ যুগ্ম সম্পাদক শফর আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক নগর আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, মো. ইসা, মন্জুর হোসাইন, তারেক সোলায়মান সেলিম, জাফর আলম, আবুল কদর, রফিকুল হোসেন বাচ্চু, হাসান মুরাদ বিপ্লব, দিদারুল আলম, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, দিদারুল আলম মাসুম, রফিউল হায়দার রফি, ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, কাজী আনোয়ার হাফিজ, মহিম উদ্দিন মহিম, হাবিবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান ফেরদৌস, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ, প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ চৌধুরী, ফারুক খালেক চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, জহির উদ্দিন বাবর, সিদ্দিক আলম, খালেদ হোসেন খান মাসুদ, আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী, ওয়াহিদুল আলম শিমুল ও ভিপি ইউনুস।