দরজায় কড়া নাড়ছে বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় করে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করবেন বাঙালিরা।
বৈশাখের আগমন উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতি। নগর কিংবা গ্রামে পয়লা বৈশাখে বসবে বৈশাখী মেলা।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নগরের বাদশা মিঞা সড়কের চারুকলা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে বর্ণিল সব মুখোশ তৈরি আর রংতুলির আঁচড়ে মাটির সরাতে চিরায়িত বাঙালি ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত।
এই বৈশাখে বৈশ্বিক বৈভবে’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে।
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এই শোভাযাত্রা অশুভকে দূর করা, সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতীক। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালির ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিগত সব ধরনের বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
এদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে চট্টেশ্বরী মোড়-আলমাস মোড়-কাজির দেউরী মোড়-এস এস খালেদ রোড-প্রেস ক্লাব ইউটার্ন-সার্সন রোড হয়ে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে শেষ হবে।
শোভাযাত্রা চলাকালে চট্টেশ্বরী মোড়, আলমাস মোড়, কাজির দেউড়ি মোড়, জামালখান খাস্তগীর স্কুল মোড় ও সিজিএস স্কুল মোড়ে রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে প্রয়োজন সাপেক্ষে ডাইভারশন প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার সম্মুখ, মধ্য ও শেষ- তিনভাগে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
পহেলা বৈশাখের আয়োজন নিয়ে দৃশ্যমান কোনো ঝুঁকি নেই। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই আমাদের সতর্কতা এবং প্রস্তুতি আছে।
জেএন/হিমেল/পিআর