ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এবার লম্বা ছুটি চলছে। এই সুযোগে পরিবার ও স্বজনের সঙ্গ পেতে নগর ছেড়েছেন অসংখ্য মানুষ। টানা ছুটির প্রভাবে এখনও ফাঁকা রয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলো। যে কারণে ঈদের তৃতীয় দিনেও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছেন নগরবাসী।
ঈদের দুই দিন আগে থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল ঘরমুখো মানুষের ভিড়। পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই ছুটেছেন গ্রামের বাড়ি। এরপর থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও অলিগলি একবারে ফাঁকা। পথচারী, যানবাহন চলাচল সীমিত।
নগরে এখন গণপরিবহন ও প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও হাতেগোনা। তবে অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চষে বেড়াচ্ছে সড়ক-অলিগলি। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হওয়া লোকজন এসব বাহনকেই বেছে নিচ্ছেন। যানজট না থাকায় দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
এদিকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোর চিত্রও প্রায় অভিন্ন। ফ্লাইওভারগুলোতে নেই গাড়ির চাপ। ফাঁকা এই নগরে স্বস্তি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে।
অন্যদিকে এখনও বন্ধ অফিস-আদালত। এছাড়া নগরের হোটেল-রেস্তোরাঁ, মার্কেট, শপিংমল ও বিভিন্ন দোকানপাটও খুলেনি।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে গাড়ি চলতে দেখা গেছে হাতেগোনা। এর মধ্যে অটোরিকশার সংখ্যাই ছিল বেশি। ব্যস্ততম জিইসি, ওয়াসা, লালখানবাজার, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট ও আগ্রাবাদের রাস্তায় ছিল না গাড়ির তেমন চাপ। ট্রাফিক সদস্যদের উপস্থিতি ও ব্যস্ততা চোখে পড়েনি।
একইভাবে চকবাজার, আন্দরকিল্লা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুনম্বর গেট এলাকায়ও দেখা গেছে অভিন্ন চিত্র। তবে বিভিন্ন গণপরিবহনে এখনও ‘ঈদ বকশিশ’র নামে বাড়তি ভাড়া আদায় চলছে।
এদিকে টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট ও রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। সবকিছু মিলিয়ে চেনা শহরের যেন অচেনা রূপ।
চকবাজার এলাকার এনামুল করিম বলেন, এবার বাড়ি যাইনি, শহরে পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করছি। নগরের রাস্তাঘাট এখন পুরো ফাঁকা। অন্যসময় জনজট ও যানজটের কারণে রাস্তায় হাঁটাচলা যায় না। রাস্তা ফাঁকা থাকার সুযোগে সন্তানদের নিয়ে হাঁটতে বের হলাম। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ভালোই লাগছে।
বাসচালক রবিন মিয়া বলেন, মানুষ এখনও বাড়ি থেকে শহরে আসেনি। কোর্টকাচারি বন্ধ। আগের মতো যাত্রী নেই।
পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, পহেলা বৈশাখ ও ঈদ নিয়ে টানা ছুটি। এই সুযোগে বেশিরভার মানুষ গ্রাম চলে গেছে। সেজন্য মানুষের উপস্থিতি কম।
জেএন/এমআর