মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে রীতিমত ব্যাটিং স্বর্গ। এবারের আইপিএলে এখানে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মুম্বাই করেছিল ২৩৪ রান।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১৯৬ রান মুম্বাই তাড়া করেছে ২৭ বল হাতে রেখে। সেই ধারাবাহিকতাতেই রবিবার আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’ খ্যাত ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংস করে ৪ উইকেটে ২০৬ রান। জবাবে রোহিত শর্মা করেছেন সেঞ্চুরি। তবে তার সেঞ্চুরিতেও জিততে পারেনি মুম্বাই।
এল ক্লাসিকো খ্যাত ম্যাচে চেন্নাই জিতেছে ২০ রানে। রোহিতের ৬৩ বলে ১১ বাউন্ডারি ৫ ছক্কায় অপরাজিত ১০৫-এর পরও মুম্বাই থামে ১৮৬ রানে। মাথিশা পাথিরানা ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ জয়।
মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ৫৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজ ফেরান ১৩ রান করা টিম ডেভিডকে। এই উইকেটে মোস্তাফিজের স্লোয়ার তেমন ভয়ংকর হবে না বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হয়েছেও সেটা।
মোস্তাফিজ করেছেন দলের দ্বিতীয় ওভার। তার প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন রোহিত শর্মা। সেই ওভারে খরচ ৮ রান। পঞ্চম ওভারে ফিরে মোস্তাফিজের খরচ ১৫ রান, হয়েছিল একটি ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারি।
এরপর ১৭তম ওভারে ফিরে মোস্তাফিজ দেন ১৯ রান। সেই ওভারে দুটি ছক্কা মারা টিম ডেভিডকে ফেরান মোস্তাফিজ। তার কাটারে লংঅফে রাচিন রবীন্দ্রকে ক্যাচ দেন ডেভিড।
নিজের শেষ ও দলের ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের খরচ ১৩ রান। রান উৎসবের এই উইকেটে অগ্নীপরীক্ষায় নিস্প্রভই ছিলেন মোস্তাফিজ।
এর আগে ব্যাট করে আজিঙ্কা রাহানে ফিরেছিলেন কেবল ৫ রানে। অপর ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রও থামেন ১৬ বলে ২১ করে।
এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিভম দুবে। রুতুরাজ ৪০ বলে ৫ বাউন্ডারি ৫ ছক্কায় ফেরেন ৬৯ করে। তবে দুবে অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ১০ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ৬৬ রানে।
শেষ দিকে ওয়াংখেড়ে মাতান মহেন্দ্র সিং ধোনি। হার্দিক পান্ডিয়ারি ৪ বল খেলে প্রথম তিনটি ছক্কা মারেন ধোনি। শেষ বলে নেন ২ রান। তাতে শেষ ৫ ওভারে আসে ৫৭ রান। ধোনি অপরাজিত থাকেন ৪ বলে ২০ রানে।
৩ ওভারে পান্ডিয়া ২ উইকেট নিলেও খরচ করেছেন ৪৩ রান। জাসপ্রিত বুমরা বরাবরের মতই করেছেন হিসেবি বোলিং। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ কেবল ২৭ রান।
জেএন/পিআর