যে এলাকা থেকে ভোট কম দেবেন, সে এলাকার উন্নয়নে হাত দেব না : একরাম

অনলাইন ডেস্ক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী

- Advertisement -

তিনি বলেন, ‘যে এলাকা থেকে ভোট কম দেবেন, সে এলাকায় আমি কোনো উন্নয়নে হাত দেব না। গিভ অ্যান্ড টেক। আমাকে দেবেন, আমি আপনাদের দেব। আমারে এমপি বানাইছেন, আমি তো বলছি, পাঁচ বছর ক্ষমতায় আছি, এখন আমার মনমতো উপজেলা চেয়ারম্যান যদি বানান, আমার মিডলম্যান (মাঝের ব্যক্তি) আমি আপনাদের উপহার দিয়ে গেলাম। আমি আজ এখানে এসে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। পরে এখানের যেকোনো একটি দোকানে বসে আপনাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখের কথা বলব।’

- Advertisement -google news follower

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিউলী একরাম বাজারে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জানা যায়, সুবর্ণচর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এবং নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী। উপজেলাটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আবদুল্যাহ আল মামুন, মো. ফয়সাল, মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী ও মো. রফিক উল্যাহ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলেয়া বেগম, বিবি ফাতেমা, মুন্নী আহমেদ ও সালমা সুলতানা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ ১৭ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, ২২ এপ্রিল প্রত্যাহার, ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ ও আগামী ৮ মে উপজেলাটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

- Advertisement -islamibank

এদিকে একরামুল করিম চৌধুরীর এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী। তিনি জানান, নির্বাচনে ভোটাররা যে প্রার্থীকে পছন্দ করবেন, তাকে ভোট দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার (একরামুল করিম চৌধুরী) মতো একজন ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভোটারদের এলাকায় উন্নয়ন না করার হুমকি দেওয়া মোটেই সমীচীন নয়। তিনি এসব বক্তব্যের ভিডিওসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তবে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ভোটারদের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কোনো বক্তব্য দিইনি। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে দেওয়া আমার বক্তব্যের কিছু অংশকে কাটাছেঁড়া করে কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করছে। তা ছাড়া আমি ছেলেকে নির্বাচনে প্রার্থী করিনি। আমার ছেলে একজন ব্যবসায়ী। এলাকার জনগণ জোর করে তাকে প্রার্থী করেছেন। সে এমনিতেই জিতবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে ভোটাররা দুই দলে বিভক্ত হয়েছেন। একপক্ষ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরীর পক্ষে, আর অন্যদল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের পক্ষে। তবে একরামুল করিম চৌধুরী সব থেকে বেশি সময় ব্যয় করছেন ছেলের পক্ষে এবং ভালো সাড়াও পাচ্ছেন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রচারণা করতে পারবেন না বলে জানান জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হলেই তাকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আগে সংসদ সদস্য তার পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকে (আতাহার ইসরাক) পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রচারণা করতে পারবেন না।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM