আরও একবার অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হলো ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালকে। ২০১৫ আর ২০১৭, দুই বছরই এই মাঠে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে নিজেদের ইউরোপিয়ান যাত্রা থামিয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটি। সেই গল্পটা বদলাল না ২০২৪ সালে এসেও। ঘরের মাঠ এমিরেটসে ২-২ গোলের ড্রয়ের পর অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় আর্সেনাল হারল ১-০ গোলে।
লম্বা সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আসার পর তাই আর্সেনালের যাত্রা চলল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্তই। জশুয়া কিমিখের একমাত্র গোলে নিশ্চিত হয়েছে আর্সেনালের বাড়ি ফেরা। সেইসঙ্গে এও নিশ্চিত হয়েছে, ২০২৪ চ্যাম্পিয়মস লিগের ফাইনাল ইংল্যান্ডে হলেও, সেখানে থাকছে না কোনো ইংলিশ ক্লাব।
এ নিয়ে ১৩তম বার ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। সেমিফাইনালে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। অন্য সেমিফাইনালে পিএসজি খেলবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে।
চলতি মৌসুমটা খুব একটা ভাল যায়নি টমাস টুখেলের দলের। বিপরীতে প্রিমিয়ার লিগে রীতিমত উড়েছে আর্সেনাল। ১-০ ব্যবধানের জয় হলেও তাই বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে বায়ার্নকে। শুরু থেকে আর্সেনালই অবশ্য রক্ষণে বেশি মনোযোগ দেয়। প্রথম ২০ মিনিটে বায়ার্ন গোলে শটই নিতে পারেনি।
২৪তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালার দূর থেকে নেওয়া শট আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়া ঝাঁপিয়ে রুখে দেন। ৩১ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। মার্টিন ওডেগার্ডের কাছ থেকে পাওয়া বলে শট নিয়েছেন মানুয়েল নয়ারের হাত বরাবর। প্রথমার্ধে গোলমুখে বলার মতো সুযোগ ছিল দুটিই। গোলশূন্য ব্যবধানেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর বায়ার্ন দুদফায় বল লাগিয়েছে পোস্টে। লিওন গোরেৎস্কার জোরালো হেড শুরুতেই ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বলে রাফায়েল গেরেইরোর শট আর্সেনাল গোলকিপারের হাতের পর পোস্টে লাগে। ঘরের মাঠে এমন প্রচেষ্টা আরও তাঁতিয়ে দেয় বায়ার্নকে। ব্যবধান বাড়াতে হন্যে হয়ে ওঠে বাভারিয়ানরা।
গোলের জন্য এরপর আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বায়ার্নকে। ৬৪ মিনিটে গেরেইরোর দারুণভাবে বাড়ানো বলে ছুটে গিয়ে হেডে জালে জড়ান কিমিখ। ম্যাচের বাকি সময়ে বায়ার্ন, আর্সেনাল কেউই আর গোলের বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ১-০ ব্যবধানই হয়ে যায় বায়ার্নের সেমিফাইনালের টিকিট।
জেএন/এমআর