ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক নতুন নয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির অগ্রযাত্রায় শরিক হতে পেরে আমরা আনন্দিত বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নূর আশিকীন মোহাম্মদ তাইব।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় ইডিইউ’র স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন। এসময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
নূর আশিকীন জানান, স্থাপত্যশৈলীতে বিশ্বমানের একটি ক্যাম্পাস গড়েছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। এখানকার শিক্ষার্থীরা সৌভাগ্যবান এমন ক্যাম্পাসে তারা পড়তে পারছে। প্রথাগত ভবন নির্মাণের বাইরে গিয়ে স্থাপত্যে যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইডিইউ তা বিশ্ববাসীর জানা দরকার। আমি মালয়েশিয়ায় গিয়ে অবশ্যই এই ক্যাম্পাসের কথা শোনাবো।
তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদেরকে সেমিস্টার বা বছরব্যাপী কোর্সের জন্য ইউরোপের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠিয়ে থাকে। আমি নিজেও আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রান্সে গিয়েছিলাম এক বছরের কোর্সে। ফলে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং তাদের পড়ালেখা ও জ্ঞানে গুণগত পরিবর্তন আসে।
সাঈদ আল নোমান বলেন, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষায় অনন্য শিখরে পৌঁছৈছে। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার মান উন্নত করতে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, আমরা আমাদের পদ্ধতির সাথে সেগুলোর সমন্বয় করছি। ইতিমধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন আমাদের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইডিইউ’র ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স এন্ড এক্সটার্নাল রিলেশনস ডিরেক্টর মাহমুদুর রহমান, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ডিন মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বিবিএর প্রভাষক রিদোয়ান করিম, ওয়াসার সাবেক সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।