রাঙ্গামাটিতে পৃথক উপজেলায় বজ্রপাতে এক বয়স্ক নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে লংগদু ও বরকল উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়সহ বজ্রপাতের সময়ে দুইজনই ঘরের ভেতরে মারা যান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার লংগদু উপজেলার লংগদু সদর ইউনিয়নের ভাইবোনছড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বজ্রপাতের ঘটনায় আয়েশা সিদ্দিকা (১৩) নামের এক কিশোরী গুরুতর আহত হয়।
পড়ে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আয়েশার সঙ্গে থাকা আরও তিনজন আহত হন।
আহতরা হলেন- আয়েশা সিদ্দিকার মা তাজেনুর বেগম, নানী হাজেরা বেগম এবং খালাতো বোন জেসমিন আক্তার। তারা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
জানা গেছে, আয়েশা সিদ্দিকা ময়মনসিংহ থেকে তার মামা জাকির খাঁর বাড়ি লংগদুতে তিন মাস আগে বেড়াতে আসে।
জাকির খাঁ চাষাবাদের জন্য বিলে অস্থায়ী ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেন। বজ্রপাতের সময় নিহত কিশোরী আয়েশা সিদ্দিকা ও আহত তিনজন ওই ঘরে অবস্থান করছিলেন।
লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মামুন বলেন, ‘বজ্রপাতের সময় জ্ঞান হারায় আয়েশা সিদ্দিকা, পরে আর জ্ঞান ফিরে আসেনি।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর আহতরা সবাই শঙ্কামুক্ত আছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
এদিকে একই সময়ে জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় বজ্রপাতে জটিলা চাকমা (৫৮) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার ৪ নম্বর ভূষণছড়া ইউনিয়নের ভুদোছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে ঘরে জটিলা চাকমাসহ তিনজন একসঙ্গে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে প্রমোধ কান্তি চাকমার স্ত্রী জটিলা চাকমা আহত হন এবং পরে তাকে বরকল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ভুদোছড়া এলাকায় বজ্রপাতে জটিলা চাকমা নামের এক নারী মারা গেছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি বরকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মংক্যচিং মারমা সাগরও নিশ্চিত করেছেন।
জেএন/পিআর