ইসরায়েলে হামলার জেরে ইরানের ১৬ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এই নিষেধাজ্ঞায় মূলত তেহরানের শাহেদ-১৩১ ড্রোন সরবরাহকে নিশানা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলায় কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি এই ড্রোন ব্যবহার করেছিল ইরান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের শাহেদ ড্রোন সরবরাহ করে এমন একটি ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ইরানের ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, এটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহ বন্ধ করা এবং বিশ্বমঞ্চে দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।
আবার, ইরানের হামলার জবাব দিতে সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তেমন একটি ইঙ্গিতও হতে পারে এই নিষেধাজ্ঞা।
ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সঙ্গে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ‘দ্বিধা করবে না’ যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে, তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মী ও অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং আমরা আপনাকে দায়বদ্ধ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।
গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।
ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ইরানের এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তবে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মিত্র ৩২ দেশকে চিঠি দিয়েছে তারা।
জেএন/এমআর