রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু লামিয়ার (৭) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজনে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে সাতটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শিশু লামিয়ার মৃত্যু হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, মিরপুরের ভাষানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
এদের মধ্যে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে এক শিশু মারা যায়। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এদিকে আগুনের ঘটনায় ১৩ এপ্রিল মেহেরুন্নেছা, ১৫ এপ্রিল সূর্য বানু ও ১৬ এপ্রিল লিটন মারা যায়। এছাড়া বর্তমানে লিজা ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হন মো. লিটন (৪৮), তাঁর স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), তাঁদের তিন সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭) ও সুজন (৮) এবং লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা (৮০)।
পরিবারটির প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, লিটনের বাড়ি ময়মনসিংহে। পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দোতলা বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকেন। এলাকাতেই ফার্নিচারের ব্যবসা রয়েছে তাঁর।
বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করা হতো। রাতে বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ভোরে লিটন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দেশলাই জ্বালাতেই আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হয়।
তিনি বলেন, সবার ধারণা, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।
জেএন/পিআর