পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস ছেড়েছেন তিন বছর আগে। তবে পাওনাটা তারও আগের।
করোনাভাইরাসের বাড়াবাড়ির দিনগুলোতে জুভেন্টাসসহ সব ক্লাবই যখন আর্থিকভাবে ধুঁকছে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেতনের কিছু অংশ পরে নেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন।
কিছু অংশ মানে কত? প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড! কর আর অন্যান্য কাটাকুটির পর যা থেকে ৮৩ লাখ পাউন্ড পাওয়ার কথা রোনালদোর।
বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা দাঁড়ায় ১১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো। রোনালদোর মতো মহাতারকার জন্য এই অঙ্ক হয়তো একেবারে মাথা ঘোরানো নয়।
২০২৩ সালে তাঁকে সব খেলা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি আয় করা অ্যাথলেট ঘোষণা করার সময়ে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস জানিয়েছে, রোনালদোর বার্ষিক আয় ১০ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড!
তবে টাকাটা তাঁর কাছে একেবারে অবিশ্বাস্য না হলেও তাঁর প্রাপ্য টাকাই তো! চার বছর ঘোরার পর সেই পাওনাই এবার বুঝে পাচ্ছেন রোনালদো।
বর্তমানে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে খেলা রোনালদোকে তাঁর পাওনা অর্থ বুঝিয়ে দিতে জুভেন্টাসকে নির্দেশ দিয়েছেন ক্রীড়াক্ষেত্রের সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অব আরবিট্রেশন (সিএএস)।
জুভেন্টাস ছেড়ে ২০২১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার পরই পাওনা অর্থের দাবি জানিয়েছিলেন রোনালদো। এ নিয়ে ঝামেলা ক্রীড়া আদালতে গড়ায়।
এর মধ্যে ম্যান ইউনাইটেড অধ্যায় চুকিয়ে রোনালদো সৌদি আরবে যাওয়ারও দেড় বছর হতে চলল। অবশেষে অর্থটা পাওয়ার একটা পথ পেলেন ৩৯ বছর বয়সী পর্তুগিজ যুবরাজ।
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে যোগ দেন তিনি। এরপর ২০২১ সালে পুরনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমান।
জেএন/পিআর