সোমালি জলদস্যুদের অপহরণ করা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ রোববার দুবাইয়ে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ।
জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম একাত্তর টিভিকে জানান জাহাজের যে অবস্থান ও গতি আছে তাতে বোঝা যায় রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টা নাগাদ দুবাই পোর্টের বহিঃনোঙ্গরে পৌঁছাতে পারবে। হয়ত পরদিন সোমবার বন্দর জেটিতে ঢুকে পণ্য খালাস শুরু করবে।
তিনি জানান, দুই জন নাবিক বিমানে ও বাকি ২১ জন জাহাজে করেই চট্টগ্রাম পৌঁছাবে।
গত মার্চে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে সোমালি জলদস্যুদের শিকারে পরিণত হয় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ।
জিম্মি করা হয় এর ২৩ নাবিককেও। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ঘটে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা।
পরে সরকার ও মালিকপক্ষের যোগাযোগে গত ১৩ এপ্রিল সোমালি জলদস্যুদের কবলে ৩২ দিনের জিম্মি জীবন কাটানো শেষে মুক্ত হন তারা।
কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হবার দিন থেকেই অপহরণকারীদের সাথে তিনি আলোচনা শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে ২০১০ সালে তাদের জাহাজ জাহান মনি অপহরণের অভিজ্ঞতা তাদের কাজে দিয়েছে। অপহৃত ও অপহরণকারী উভয়ের ধর্ম পরিচয় এ ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা দিয়েছে।
অপহৃত ২৩ নাবিকের প্রতি ভালো আচরণ করা হয়েছে। রোজা রাখার জন্য খাদ্য সরবরাহ ও প্রার্থনার জন্য সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাহান মনি অপহরণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুত এবার অপহৃত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে দ্রুত মুক্ত করা গেছে।
মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি তিনি সরাসরি স্বীকার না করলেও বলেন, অপহরণকারীদের চাহিদা মিটিয়ে খুশি করেই বিপদ থেকে পার পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমূদ্র সীমায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী ব্যক্তি মালিকানার প্রায় ১০০টি জাহাজ বিচরণ করছে।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে ভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তা দেশের জাহাজ ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করবে। উদীয়মান জাহাজ ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত হবে।
জেএন/পিআর