মুক্তিপণ দিয়ে সোমালীয় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ‘ এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। জাহাজটি হরমুজ প্রণালি হয়ে আজ ররিবার (২১ এপ্রিল) আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।
এ বন্দরে কয়লা খালাস করে নতুন পণ্য বোঝাই করা হবে জাহাজটিতে। এতে সময় লাগবে প্রায় দুই সপ্তাহ। এরপর বাংলাদেশের উদ্দেশে দুবাই ত্যাগ করবে জাহাজটি।
জিম্মি হওয়ার কারণে পূর্বনির্ধারিত সময়ের ৩২ দিন পর জাহাজটি গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মুক্তি পাওয়া জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিককে বরণ করা, দেশে আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে জাহাজ মালিকপক্ষের একটি দল গতকাল শনিবার দুবাইয়ে গেছে।
তবে নাবিকদের মধ্যে আপাতত দুজন বিমানে এবং অন্যরা মাসখানেক পর জাহাজে করে দেশে আসতে পারেন বলে মালিকপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
জাহাজ মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আবদুল্লাহ আগামীকাল (আজ) বিকেলে বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে। পরদিন আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করবে। কয়লা খালাসের পর আনুষঙ্গিক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
নাবিকদের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘২৩ জনের মধ্যে আপাতত দুজনের বিমানে করে দেশে আসার কথা রয়েছে। অন্য ২১ জন এমভি আবদুল্লাহতে করে আসবেন।
তাঁদের দেশে আসতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে। নাবিকদের সঙ্গে কথা বলে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবাই সুস্থ আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মিদশার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পায় নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ।
মুক্ত হওয়ার পরই জাহাজটি ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।
জেএন/পিআর