কক্সবাজারের রামু উপজেলায় মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুর চালানকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে বাবা-ছেলে নিহত হয়েছে। দুই ডাকাত গ্রুপের বিরোধের জেরে তারা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের উত্তর থোয়াইংগাকাটা মৌলভীরঘোনা এলাকার নজরুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন উপজেলা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জাফর আলম এবং তার ছেলে মো. সেলিম।
রামু থানার ওসি জানান, স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে ওই এলাকায় আবছার ডাকাত এবং শাহীন ডাকাতের দুটি গ্রুপ আছে। আধিপত্য বিস্তার এবং বার্মিজ গরু চোরাচালানকে কেন্দ্র করে গ্রুপ দুটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
রোববার রাতে শাহীন ডাকাত গ্রুপের ১৪ থেকে ১৫ জন চোরাচালানের গরু পার করার জন্য ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে আবছার ডাকাত গ্রুপের ২০ থেকে ২২ জন দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুক দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে শাহীন গ্রুপের মো. সেলিম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সেলিমের বাবা জাফর আলম ছেলেকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর এবং গুলি করা হয়।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান ওসি।
জেএন/পিআর