চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি(টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার ইউএনও, ওসিকে অনলাইনে তলব করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উজ্জ্বল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সাতকানিয়া উপজেলায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। রাতের অন্ধকারে যে যেভাবে পারছে, এক্সস্ক্যাভেটর (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে আবদুল মুনাফ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ১৯ মার্চ মাটি কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পরও মাটি কাটা অব্যাহত থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। এর পর আদালত সংশ্লিষ্টদের অনলাইনে তলব করেন।
জেএন/এমআর