তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। চলমান এই গরম আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে।
এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন।প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে।
সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে।
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে।
স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে।
অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।
তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।
জেএন/পিআর