চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আরো এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোজাফফর নগর এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি এসএম আসাদুজ্জামান (৫২)কে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রো ইউনিট।
গ্রেফতার আসাদুজ্জামান মামলার ৫ নং আসামী। তিনি চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা। গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান। বলেন, গ্রেফতার আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) নগরের চকবাজার এলাকা থেকে এ মামলার আসামি মো. লিটনকে (৪৮)কে গ্রেফতার করেছিলো পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো ইউনিটের একটি টিম। তারও আগে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর একই মামলার আসামি জসীম উদ্দীনকে (৩৭) গ্রেফতার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, গত বছরের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানায় রেকর্ড করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
ওই মামলায় আসামি করা হয়েছিল- চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তারসহ (১৯) মোট নয়জনকে।
পরিবারের দাবি, হৃদ্রোগের রোগী শহীদুল্লাহকে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ওষুধ না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, শহীদুল্লাহকে ওসির কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তাকে থানায় কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
ওসির কক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা ও পুলিশ মিলে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ হৃদ্রোগ।
জেএন/পিআর