শিক্ষকদের আন্দোলনের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে আবাসিক হলগুলো।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়ালি ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবারের (১ মে) মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে একটি এবং গত রোববারের ঘটনা তদন্তে আরেকটি কমিটি গঠনের বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কুবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। উপাচার্য লাঞ্ছিত, শিক্ষকদের দু’পক্ষে হাতাহাতি, থানায় অভিযোগ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত। আবদুল মঈনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। এরপর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আসে। এদিকে এরই মধ্যে নানা অভিযোগে গত আড়াই মাসে ১৯ জন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক আবদুল মঈন ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কুবিতে যোগদান করেন। উপাচার্যের মেয়াদ শেষের অনেক আগেই তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষকদের একটি অংশ। গত রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের বার বার ফোন করা হলেও কেউই কল রিসিভ করেননি।
জেএন/এমআর