দীর্ঘ দাবদাহে পুড়তে থাকা চট্টগ্রামবাসী অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় বাতাস, বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাত। সাথে হালকা বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাড়ে বৃষ্টি। বহুল প্রতীক্ষিত এ বৃষ্টির দেখা পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছে তীব্র গরম ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ে নাকাল নগরবাসী।
ঘর থেকে বেরিয়ে প্রশান্তির বৃষ্টিতে গা ভিজিয়েছেন আবাল বৃদ্ধ অনেকে। বৃষ্টির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ স্রষ্টার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনও করেন।
গরমের তীব্র ভোগান্তির পর বহুল প্রতীক্ষিত বৃষ্টির ফলে শ্রমজীবী মানুষ যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। গত একমাস যাবত প্রচণ্ড গরমে মানুষের প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, ঠিক তখনই আকাশে মেঘের দেখা।
বুধবার বিকেল থেকেই আকাশে গুমোট ভাব ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের আকাশ। এরপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ ফটিকছড়ি, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও রাউজানে বৃষ্টির ধারা তপ্ত এলাকায় স্বস্তি এনে দিয়েছে।
এছাড়াও ফেনী, নোয়াখালী ও রাঙামাটিতেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি না হলেও এতে রাস্তাঘাট ভিজেছে এবং তাপদাহের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। ফলে জনমনে নেমে এসেছে স্বস্তির আবহ।
এর আগে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হতে পারে, সেই আভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। এর ফলাফলও বৃহস্পতিবার (২ মে) ভোর থেকেই মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে গণপরিবহনের যাত্রী ও সড়কে থাকা পথচারীরা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন। বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতের বিক্রেতাদের দোকান গুটিয়ে নিতে দেখা যায়। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা অনেককে অবশ্য ইচ্ছা করে বৃষ্টিতে ভিজতেও দেখা গেছে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, চট্টগ্রামে বুধবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টি হয়ে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার ও কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
জেএন/পিআর