রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও কালবৈশাখীর প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যায় একটি গরুও। তাছাড়া বজ্রপাতে বাঘাইছড়িতে আহত হয়েছে আরো সাতজন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়া ও বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়ন ও সাজেকের লংথিয়ান পাড়ায় এই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির আহমেদ (৫০), বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) ও সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা গৃহিণী (৩৭)।
জানা গেছে, রাঙ্গামাটি শহর-সংলগ্ন সিলেটি পাড়া এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয় নজির আহাম্মেদ (৫০) নামের এক ব্যক্তি।
পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নজির আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।
বাঘাইছড়ির রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা জানান, ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় একটি গরুও মারা যায়।
অন্যদিকে সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা গৃহিণী (৩৭) ঘরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, অনেক দিন পর বৃহস্পাতিবার সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে বাহারজান বেগম ও সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামে দুজন মহিলা বজ্রপাতে মারা যান।
তাদের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জেএন/পিআর