চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুতে লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নগরের কালুরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জাহাজে কর্মরত কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান, সুকানি ইয়ামিন মোল্লা ও গিজার শাহাদাত হোসেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে কালুরঘাট সেতুর নগরী প্রান্তে সংস্কারধীন কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দেয় ‘এমভি সামুদা-১’ একটি লাইটারেজ জাহাজ। সর্বশেষ দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স।
মূলত মেয়াদ উত্তীর্ণ এ সেতুটি মেরামত করে কক্সাবাজার পথে রেল চালুর উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। সংস্কারের জন্য গত বছরের ১ আগস্ট থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ৫ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে রেল চলাচল শুরু হয়। এরই মধ্যে বহুল আলোচিত এ সেতুতে জাহাজের ধাক্কার পর নতুন নানাভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই জাহাজটিতে মূল চালক ছিলেন না। সহকারী চালক এবং মাস্টাররা মিলে জাহাজটি নোঙর করার চেষ্টা করেছিল। পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাহাজটি কালুর ঘাট সেতুতে ধাক্কা দেয়। পরে মামলা দায়েরের পর দুর্ঘটনার সময়ে জাহাজে থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ।
সদরঘাট নৌ-পুলিশের ওসি একরাম উল্লাহ বলেন, কালুরঘাট সেতু একটি রেলসেতু। সেজন্য মামলাটি রেলওয়ে থানায় হয়েছে। তবে সেতুর পাটাতনের নিচের অংশ যেহেতু নদীতে এবং ক্ষয়ক্ষতি সেখানে হয়েছে, তাই বিষয়টি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে। আমরা জাহাজটি জব্দ করেছি। এরপর ওই মামলায় জাহাজের তিন নাবিককে গ্রেপ্তার করেছি। এদের মধ্যে দুজন কোয়ার্টার মাস্টার ও একজন সুকানি।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই জাহাজের চালক কিছুদিন আগে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। একজন সহকারী চালক ও অন্যান্যরা মিলে জাহাজটি চালাচ্ছিল। এটা কি নিছক দুর্ঘটনা না কি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেএন/এমআর