গেল সপ্তাহের মতোই এ সপ্তাহের বাজারে বড় কোনো সুখবর নেই। মাছ, মাংস ও ডিমের বাজারও চড়া। এর মধ্যে সবজির দামও স্বস্তি দিচ্ছে না ক্রেতাদের।
উচ্চমূল্যেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্য। আজ শুক্রবার (৩ মে) চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা মিলেছে এমনই চিত্র।
গেল সপ্তাহের তুলনায় বাজারে আজ ৭০ টাকার নিচে মিলছে না কোন ধরনের পেঁয়াজ। আগের সপ্তাহে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ কেনা গেলেও আজকের বাজারে নুন্যতম দাম ৭০ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
অন্যদিকে বাজারে আদা-রসুনের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি আমদানি করা এই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, ময়দার মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ ও মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল।
এ ছাড়া স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। প্রতি কেজি সজনে ডাটা ১৪৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে, বরবটি, করলা, কাকরোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বলতে গেলে পটোল ও ঢেঁড়স ছাড়া ৬০ টাকার নিচে চট্টগ্রামের বাজারে কোনো সবজিই মিলছে না।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগি প্রতি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন ডিম কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৩০ টাকা।
বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শুধুমাত্র পেঁপেই সারাবছর কম দামে পাওয়া যায়। কিন্তু আজকে বাজারে এসে দেখি পেঁপের দাম উঠেছে ৬০ টাকায়। অথচ, গত সপ্তাহে বাড়তি দামের মধ্যেও ৪০ টাকায় পেঁপে কিনেছিলাম। দেশে কি পেঁপের আকাল পড়েছে?
বিক্রেতারা বলছেন, গতরাতে (বৃহস্পতিবার) বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। তার আগে প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে রোজার ঈদের পর থেকেই সবজির বাজার চড়া।
জেএন/পিআর