চট্টগ্রাম নগরের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের সামনে ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তবে পুলিশ বলছে—সামান্য হাতাহাতি হলেও কোনো হতাহত হয়নি। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কলেজ ছাত্রলীগ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস ৪র্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (২য় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস ৩য় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস ২য় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস ২য় বর্ষ), রিমন ও অন্তর (এইচএসসি ২য় বর্ষ)।
মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, ‘কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের পদযাত্রা ও পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি ছিল৷ পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াতেই চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে একদল ছেলে আমাদের ওপর হামলা চালালে আমাদের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।’
তবে, টেম্পো ভাড়া করাকে কেন্দ্র করে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে আমরা সিআরবিতে যাওয়ার জন্য টেম্পো ভাড়া করছিলাম। দুটি টেম্পো ভাড়া করেছি, সেগুলোতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মহসিন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে।’
‘আমরা তাদের বলেছি এ টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি। তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এই টেম্পো তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।’-যোগ করেন জাহিদুল।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. সারোয়ার বলেন, ‘তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। হতাহতের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
জেএন/এমআর